ধ*র্ষ*ণবিরোধী নতুন আইন পুরুষদের জন্য বৈষম্যমূলক | New Rape Law | Bangladesh

 

ধ*র্ষ*ণবিরোধী নতুন আইন পুরুষদের জন্য বৈষম্যমূলক।

শারীরিক সম্পর্ক: আইন কি পুরুষের প্রতি বৈষম্যমূলক?


বর্তমান আইনে শারীরিক সম্পর্ক কখন অপরাধ, আর কখন নয়—তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে শারীরিক সম্পর্ক করলে সেটি ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে কিনা, তা বিভিন্ন দেশে ভিন্নভাবে বিচার করা হয়। ভারতীয় নাঈম ভার্সেস স্টেট মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করেছেন যে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী যদি স্বেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্কে জড়ান, সেটিকে ধর্ষণ বলা যাবে না। একইভাবে, বাংলাদেশেও মনোয়ার ভার্সেস স্টেট মামলায় হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন যে, ১৬ বছরের বেশি বয়সী নারী স্বেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্কে জড়ালে সেটি ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে না।


তবে সমস্যা দেখা দেয় যখন বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় পুরুষের নাম ও ছবি মিডিয়ায় প্রচার করা হলেও, অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন থাকে। এতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সামাজিক মর্যাদা বিনষ্ট হয়, তার পরিবার চাপে পড়ে এবং দীর্ঘদিন মামলার হয়রানি ভোগ করতে হয়। অথচ, বিচার শেষে যদি সে নির্দোষ প্রমাণিত হয়, তখন তার সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।


২০২৫ সালের নতুন খসড়া আইনে বলা হয়েছে, বিশ্বাসভাজন ব্যক্তির সাথে শারীরিক সম্পর্ক অপরাধ নয়। কিন্তু বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের বিষয়টি কীভাবে বিচার করা হবে, তা স্পষ্ট নয়।


বিভিন্ন সংগঠন এবং নাগরিক সমাজ থেকে দাবি উঠছে, মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায়, আইনের অপব্যবহার করে নির্দোষ ব্যক্তিদের হয়রানি করার প্রবণতা বাড়তেই

থাকবে।


Post a Comment

0 Comments